গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কি

আমরা অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কিনা।এই তথ্যটি জানার জন্য আমরা অনেক মানুষ সঠিক বিষয়টি নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে থাকে। এজন্য এ আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।
ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা


কারণ এ আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কিনা এই বিষয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি।

গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিটি মহিলা যখন গর্ভবতী হয় বা গর্ভের সন্তান আসে তখন ডাক্তারের পরামর্শে বা নিজের ইচ্ছে খাবার খাওয়া চাহিদাটা বৃদ্ধি পায়ে ও তখন ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন হয়। কমবেশি আমরা প্রত্যেকে জানি ডাবের উপকারিতা কতখানি।আমরা প্রত্যেকটি মানুষ জানি ডাবের পানি খাওয়া গর্ভাবস্থায় অনেক উপকার।তবে জানিনা ডাবের শ্বাস খাওয়ার উপকারিতা। 
আমরা প্রত্যেকটি মানুষ প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মিটাতে ডাবের পানি খাই।ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব দূর করার জন্য ডাক্তারেরা ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেয়।ডাবের পানির আরেকটি রোগীদের জন্যখুবই প্রয়োজনীয় সেটা হল ডায়রিয়া ও জন্ডিস রোগদের জন্য।যাদের শরীরে পানির ঘাটতি হয় তাদের ডাবের পানি খাওয়া দরকার।
ডাবের পানিটুকু খাওয়ার পরে ডাবের শাঁস ফেলে দেন এ কাজটি আপনারা অনেকেই করেন।অথচ ডাবের শাঁসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩.৫ গ্রাম প্রোটিন,৩৫০ ক্যালরি,১৫ গ্রাম সোডিয়াম,৩৬০ গ্রাম পটাশিয়া,৩৩ গ্রাম ফ্যাটের পরিমাণ ও ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রে এ সবকিছু ১০০ গ্রাম ডাবের শাঁসের থাকে।আবার ম্যাগনেসিয়াম আয়রন, ভিটামিন সি,ভিটামিন বি ও ক্যালসিয়াম এই সকল ভিটামিন ডাবের শাঁসে পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • গর্ভের সন্তানের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি জন্য ডাবের শাঁস খাওয়া আমাদের দরকার।
  • ডাবের শাঁস খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের।কারণ এ অবস্থায় শরীরে এক ধরনের পানি জমে এতে ওজন বৃদ্ধি হয়।
  • ডাবের শাঁস খেলে পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,সোডিয়াম ও অন্যান্য ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে গর্ভের সন্তানের সুস্থ রাখে।
  • অনেক মেয়েদের গর্ভাবস্থায় হজমের সমস্যা দেখা দেয় তখন ডাবের শাঁস খেলে এ সমস্যাটি দূর হয়।
  • ডাবের পানিতে যেমন উপকার আছে তিনি ডাবের শাঁস খেলে উপকার পাওয়া যায়।এ দুটি গর্বের সন্তানের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • গর্ভের সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তিশালী সুস্থ রাখতে ডাবের শাঁস খাওয়া অতি প্রয়োজনীয়।
  • ডাবের শাঁস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সমস্যা থাকে না।গর্ভাবস্থায় অনেকেরই এ রোগের সমস্যা হয়, তখন ডাবের শাঁস খেলে সমস্যাটি দূর হয়।

গর্ভাবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কি

উপরে আমরা গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম।আর এখন ডাব খাওয়ার সম্পর্কে কিছু জানবো।বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হয় গর্ভের সন্তান আসার পরে তখন নিজের ও সন্তানের স্বাস্থ্য খেয়াল রাখতে হয়।মহিলাদের একটি প্রয়োজনীয় সময় হলো গর্ভের সন্তান আসার পরে।এই সময় মহিলাদের খাবারে অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে হয়।
আমরা অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কিনা তাই আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করব।
হ্যাঁ,ডাবের পানি খাওয়া যায় গর্ভাবস্থায়।কারণ এতে ভিটামিন,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ও আরো পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকে পেটের সন্তান।এখন গর্ব অবস্থায় ডাব খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব নিচেঃ
  • গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ডাবের পানি পান করা উচিত।
  • ডাবের পানিতে হাইড্রোজেন রয়েছে। এটি গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
  • গর্ভবতী মহিলাদের ডাবের পানি খেলে ব্লাড প্রেসার সঠিক থাকে,তাই গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়া প্রয়োজন।
  • অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল রয়েছে ডাবের পানিতে আর এটি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সঠিক রাখে।
  • পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর দিক থেকে ডাবের পানির ভূমিকা অনেক বেশি, কিন্তু এতে ক্যালোরি খুবই কম।
  • ডাবের পানি শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যারা গর্ভবতী তাদের এই সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি হল বুকে জ্বালাপোড়া করা আর এই সময় দামের পানি খেলে সমস্যাটি অতি দ্রুত সমাধান হয়।
  • ট্রিগ্লিসেরাইড ও কলেস্ট্রোলসমস্যা দেখা দেয় গর্ভাবস্থায়,তখন ডাবের পানি খেলে সমস্যাটি দূর হয়।
  • অনেকেরই গর্ভে সন্তান আসার পরে রক্তচাপ বেড়ে যায়,এটি নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের পানি খেতে হয়।
  • মনের শান্তি ও পেটের সন্তুষ্টি বাড়ায় ডাবের পানি খাওয়ার পরে মনে হয়।

গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা বিষয় সম্পর্কে জানলাম আর এখন গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে কি এই বিষয় সম্পর্কে জানবো। টক জাতীয় ফল ও টক জাতীয় খাবারে আমরা প্রায় মেয়েরা পছন্দ করি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এই ধরনের ফল ও খাবার খাওয়ার আগ্রহ অনেক বেশি বেড়ে যায়।কারণ শরীরের সোডিয়াম অতিরিক্ত মাত্রায় নির্গত হয় তখন টক খাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যায়


গর্ভবতী মহিলাদের টক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এনার্জি ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং এটি মা ও শিশুর অনেক উপকার করে টক খেলে।নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  1. অম্ল ধারণ বৃদ্ধি করে ও মাংসপেশির শক্তি বাড়ায় লেবুর টক খেলে।
  2. গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়।
  3. গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিমাণে যতটুকু ক্যালসিয়াম সরবরাহ হয় গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজন।
  4. প্রেগন্যান্ট অবস্থায় টক জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ভিতরে যে জ্বালাপোড়া হয় সেটি সঠিক রাখের
  5. গর্ভাবস্থায় অনেকেরই প্রেসারের সমস্যা হয় সেটি সঠিক রাখে টক জাতীয় খাবার খেলে বা ফল খেলে।
  6. প্রেগন্যান্ট এর সময় অনেকেরই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় তখন টক খেলে অভাবটি পূরণ হয়।
  7. জ্বর ও গর্ভাবস্থার সময়ে আমল পদার্থ সরবরাহ করতে পারে যেটি মার্কান্ডিত পরিমাণ রক্ত পরিষ্কার করতে টক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
  8. গর্ভাবস্থায় শরীর সুস্থ রাখতে ও মন ভালো রাখতে টক খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও অন্যান বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে উল্লেখ করা হয়েছে আর এখন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সেটি জানবো।গর্ভের সন্তান আসার পরে গর্ভবতী মহিলাদের খাবার খাওয়ার পরিমাণটি বেশি বৃদ্ধি পায়।তখন মহিলাদের একটু বেশি খাবার খাওয়া হয়।বেশি খাবার খেলে গর্ভের সন্তানের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না বরং তারা সুস্থ থাকে।প্রতিটি মহিলারা চানই গর্ভের সন্তানটি সুন্দর হয় যেমন গায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা।
কিন্তু ডাক্তারগণ বলে যে সন্তানের গায়ের রং ফর্সা হবে খাদ্যের উপর না বরং বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে জিন পাই সন্তানের।কিন্তু কিছু খাবার আছে যা খেলে গর্ভাবস্থায় সন্তানের ফর্সা ও সুন্দর হয়।নিচে সে বিষয়ে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
দুধ ও দুধ পণ্যঃদুধ ও দুধ জাতীয় পণ্য গ্রহণ করলে শরীরে ক্যালসিয়াম,প্রোটিন ও অন্যান্যপুষ্টি উপাদানের সরবরাহ হয়।সেটি সন্তানের ক্যালরি যোগায় শক্তিশালী করে ও সন্তানের গায়ের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ডিমঃডিম খেলে গর্ভের সন্তান ফর্সা হয় এটি প্রচলিত রীতিনীতি অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয়।গর্ভের তিন মাস পর থেকে নিয়মিত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত এটি গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।সন্তানের মস্তিষ্ক গঠন করতে ডিমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।কারণ ডিমে প্রোটিন,
ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য ভিটামিন পাওয়া যায়।
টমেটোঃগর্ভাবস্থায় মহিলাদের টমেটো নিয়মিত খাওয়া উচিত। টমেটো খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং গর্ভে সন্তানের উজ্জ্বল হয় অনেকেই ধারণা করে।
নারিকেলঃনারিকেল খেলে গর্বের শিশুর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও ফর্সা হয় এটি অনেকেই বিশ্বাস করে। কিন্তু অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে।এইজন্য সঠিক পরিমাণ অনুযায়ী নারিকেল খাওয়া প্রত্যেকটি গর্ভবতী মহিলাদের দরকার।
টক জাতীয় ফলঃটক জাতীয় ফলের ভিটামিন সি পাওয়া যায় তাই প্রত্যেকটি গর্ভবতী মহিলাদের টক জাতীয় ফল খাওয়া দরকার।শিশুর শরীর গঠনে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে টক ফলের কার্যকারিতা রয়েছে। এই জন্য গর্ভ অবস্থায় খাদ্য তালিকায় টক জাতীয় ফল রাখা উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না

প্রত্যেকটি মহিলাদের গর্ভাবস্থায় গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে খাদ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া উচিত।কিন্তু আবার অনেকেই জানিনা এই অতিরিক্ত খাবারের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খাওয়া যাবে না।নিজের স্বাস্থ্য ও গর্ভের সন্তানের কথা বিবেচনা করে যেসব খাবার ত্যাগ করতে হবেতা সম্পর্কে জানা।নিজে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ
কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাছঃগর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় খাবারের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।এই সময় কাঁচা বা অর্ধ সিদ্ধ মাছ খাওয়া যাবে না।কাঁচা বা অর্ধ সিদ্ধ মাছের জীবানু থাকে যেটি গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতিকর।এইজন্য কাঁচা বা অর্ধ সিদ্ধ মাছ যাতে না খাওয়া হয় সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
কাঁচা দুধঃগর্ভবতী মহিলাদের দুধ খাওয়া একটি প্রয়োজনীয় খাবার।কারণ দুধে ক্যালরি ও প্রোটিন রয়েছে যেটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আদর্শ খাবার। মাতৃগর্ভে থাকা শিশুটির মস্তিষ্ক বিকাশ করতে দুধের ভূমিকা অপরিহার্য।গর্ভবতী মহিলাদের দুধ জাল না দিয়ে কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না।কারণ মহিলারা দুধের গন্ধটি সহ্য করতে পারবে না।
গর্ভবতী মহিলারা কাঁচা দুধ খাওয়ার পরে অনেক সময় বমি করতে থাকে যেটি গর্ভের সন্তানের জন্য মারাত্মক ক্ষতি।এইজন্য কাঁচা দুধ খাওয়া একদমই উচিত না।
কাঁচা বা হাফ বয়েল ডিমঃকাঁচা বা হাফ বয়েল ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া গর্ভ অবস্থায় উচিত না।তবে এটি অনেকেই ভাবে সিদ্ধ ডিমের চাইতে কাঁচা বা হাফ বয়েল ডিম একটু বেশি উপকার করে।তবে এটি একদমই সঠিক না।শরীরে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে এই কাঁচা বা আধ সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে।
জ্বর,সর্দি,বমি ও ডায়রিয়া এ ধরনের রোগগুলো এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে শরীরে প্রবেশ করে।এইজন্য কাঁচা বা হাফ বল ডিম গুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত না।
অর্ধসিদ্ধ মাংসঃঅর্ধ সিদ্ধ মাংস খেলও ঠিক একই রকম সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়।সালামোনেল্লা,লিস্টেরিয়া ও টোক্রোপ্লাসমা এই ধরনের সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যায় অর্ধসিদ্ধ মাংস খাওয়ার ফলে।গর্ভের সন্তানের জন্য এটি ক্ষতিকর যদি এই ধরনের সংক্রমণ গুলো শরীরে সৃষ্টি হয়।এইজন্য গর্ভাবস্থায় অর্ধসিদ্ধ মাংস খাওয়া উচিত না।
কমল বা অ্যালকোহল জাতীয় পানিঃগর্ভবতী মহিলাদের জন্য অ্যালকোহল বা কমল পানি খাওয়া একদমই উচিত না।কারণ এটি শিশুর ভ্রণের বিকাশ সঠিক মতো হতে দেয় না।শিশু জন্মের পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় কমল বা অ্যালকোহল জাতীয় পানি থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

উপরে আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় আর কি কি খাওয়া যায়।এখন জানবো কি কি ফল খাওয়া যাবে না।গর্ভের সন্তানের কথা ভেবে আমরা অনেক সময় অতিরিক্ত খাবার খেয়ে থাকে এবং খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খেয়ে থাকি।তবে আমরা সঠিকভাবে জানি না গর্ব অবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে ও কি কি ফল খাওয়া যাবেনা।


এইজন্য আজকে নিচে আমরা গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এ সম্পর্কে জানবো।
তরমুজঃতরমুজ একটি গ্রীষ্মকালের ফল হিসেবে খুবই পরিচিত এবং এটি একটি সুস্বাদু ফল।প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মহিলাদের এটি খেলে বিপদজনক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।এজন্য গর্ব অবস্থায় না খাওয়ায় সঠিক ।
খেজুরঃএটি একটি পুষ্টিকর ফল।এই ফলে আমিষ,আইরন ও অন্যান্য খনিজ উপাদানে ভরপুর।এইজন্য গর্ভবতী মহিলাদের খেজুর খাওয়া উচিত না।কারণ এই সব কিছু একটু বেশি ভরপুর যা গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সঠিক না।
পেঁপেঃপেঁপেতে ল্যাটেক্র উপাদান বেশি থাকার কারণে গর্ভকালীন সময়ে পেঁপে খাওয়া একদম সঠিক নয় এতে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেশি।
আনারসঃএই ফলটি একটি উষ্ণ জাতীয় ফল।মানুষের শরীরের মধ্যে এক ধরনের এনজাইমটি থাকে যেটি আনারস খাওয়ার ফলে অনেক সময় প্রোটিন ভেঙ্গে জলবাহিত যন্ত্রণার মূল সমস্যা দেখা দেয়।
আঙ্গুরঃআঙ্গুর শরীরে গরম করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এর ফলে গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় এজন্য গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া উচিত না।

লেখকের শেষ মন্তব্য

এই আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা এবং গর্ব অবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কি না এই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত স্থাপন করার চেষ্টা করেছি।প্রতিটি মানুষের জন্য এই বিষয়গুলো জানা খুবই দরকার তাই এ আর্টিকেলটি করে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url