কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয়

আমরা কমবেশি মানুষই কাঁচা পেঁপে খায় এবং তরকারিতে এটির ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা জানিনা যে কাঁচা পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু পুষ্টি ও উপকার করে থাকে।কাঁচা পেঁপে মানুষের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, যেমন ত্বকে সমস্যা, এসিডিটি, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস এই ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান হয় এই ফলটির মাধ্যমে।

তাই আমরা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয় এসব কিছু এ আর্টিকেলটিতে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।

কাঁচা পেঁপের পুষ্টি

আমরা ছয় ঋতুতে বিভিন্ন রকমের ফলফলাদি পেয়ে থাকে। কিন্তু সব সময় পাওয়া যায় এমন একটি ফল হচ্ছে পেঁপে। এই ফলটি আমরা প্রায় সময় পেয়ে থাকি এবং এই ফলটি কাঁচা অবস্থায় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন ধরেন কাঁচা অবস্থায় রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় ও অনেকে কাঁচায় খেতে পছন্দ করে।তবে এই ফলটি পেকে গেলে খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়।
এই ফলটিতে সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম,ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম,ফ্যাট ০.১ গ্রাম, শর্করা ৭.২ গ্রাম,পটাসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম,খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, খনিজ মাত্র ০.৫ মিলিগ্রাম এই সকল উপাদান গুলো ১০০ গ্রাম পেঁপেতে পাওয়া যায়।কাঁচা পেঁপে খেলে আমরা এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেয়। তাই আমাদের এই ফলটি অবহেলা না করে সঠিক পরিমাণের খাওয়া উচিত।

কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

আমরা আজকে এ আর্টিকেলটিতে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানব।এখন কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু সেই বিষয়টি সম্পর্কে এ আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।আমরা কমবেশি এই ফলটি বারো মাসে পেয়ে থাকি। এই ফলটিতে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে।এই ফলটিকে আমরা বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করি সবজি হিসেবে।
মাংসের, ডালে ও কাঁচা পেঁপের ভাজি করে আমরা অনেকেই খায়।কাঁচা পেঁপের হালুয়াও হয় সেটি আবার খেতে অনেক মজার।এই ফলটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে এবং পেটের সমস্যা, গ্যাস্টিকের সমস্যা,জ্বর নিরাময়ে ও হজমে সমস্যাতে সঠিক উপকার করে।ব্রিটিশে প্রকাশিত এক গবেষণায় তথ্য অনুযায়ী, টমেটো ও গাজরের অধিক ক্যারোটিনয়েডস আছে এই কাঁচা পেঁপেতে একটু বেশি।
মানবদেহের জন্য এটি অনেক উপকারী।এই সবজি বা ফলে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভরপুর রয়েছে। যেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।নিচে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা কিছু তথ্য উল্লেখ করা হলো-
এনজাইমের শক্তিঘরঃআমরা সবাই কাঁচা পেঁপে গুণ সম্পর্কে জানি। এই কাছে পেতে প্রাকৃতিক এনজাইম রয়েছে।এই এনজাইম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্যাপিন ও সাইমোপ্যাপিন।চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট নষ্ট করতে এনজাইমে উপাদানটি সহায়তা করে।
অভ্যন্তরীণ শুদ্ধিকারকঃঅনেক মানুষ আছেন যারা কাঁচা পেঁপে খেয়ে ময়লাশয় ও পরিপাকনালির বা কোলনকোলনের নোংরা গুলো পরিষ্কার করেন।কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে আঁশ।তাই কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, ডায়রিয়া, এসিডিটি এই ধরনের সমস্যাগুলো দূর হয়।
ত্বকের সুরক্ষাঃকাঁচা পেঁপে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে এবং এতে আঁশ থাকায় শরীরের ভেতরের দূষিত পদার্থগুলো দূর করে।ত্বকের উপরের নানা রকমের দাগ ও ব্রণ দূর করে এই কাঁচা পেঁপেতে।
পুষ্টি পাওয়ার হাউসঃগাজরের টমেটোতে যে পুষ্টি পাওয়া যায় তার থেকেও বেশি ক্যাটিনয়েডস রয়েছে এই কাঁচা পেঁপেতে। যা মানুষের শরীরে অনেক বেশি উপকারী।
ব্যথা নিরাময় করেঃকাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ যা মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
তন্ত্রের চলাচল কে নিয়ন্ত্রণ করেঃকাঁচা পেঁপের বিজিতে পাওয়া যায় এন্টি প্যারাসিতিক ও এন্টিএমবিক যেতে অন্তরের চলাচল সঠিক রাখতে সাহায্য করে।কোষ্ঠিকাঠিন্য,হৃদট যন্ত্রের সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যা থেকে সুরক্ষা করে।
হৃদরোগ সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়ঃরক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ সাথে সাথে কাঁচা পেঁপে ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখে।শরীরের ক্ষতিকর সোডিয়ামে পরিমাণ কম করার প্রয়োজন হয় সেটি এ কাঁচা পেঁপে খেলে হয় ও হৃদরোগের সমস্যা দূর হয়।
অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বি কমিয়ে দেয়ঃভিটামিন সি,ই,এ এই ধরনের সকল পুষ্টিগুণ এই কাঁচা পেঁপেতে পাওয়া যায়।১০০ গ্রামে ৩৯ ক্যালোরি মাত্র পাওয়া যায় এবং চর্বি ও এন্টিঅক্সিড অতিরিক্ত ক্যালরি কমাতে এই কাঁচা পেঁপে বিদ্যমান রয়েছে।

কাঁচা পেঁপে খাওয়ার নিয়ম

আমরা কমবেশি পেঁপে সম্পর্কে জানি। এটি সবজি বা ফল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ফলটি কাঁচা অবস্থায় ও পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়।পাকা অবস্থায় এই ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু।এই ফলটি পেকে গেলে খাওয়া যায়, কিন্তু কাঁচা পেঁপে কাঁচা খাওয়ার সময় কিছু খেয়াল করে খেতে হয়।কারণ কাঁচা পেঁপে সকালে ভরা পেটে ও দুপুরে খাওয়ার পরে খাওয়া যায়।
তবে অনেকে আছে ঠান্ডা সমস্যা হয় একটুতে তো বিকেলে এই ফলটি খেলে এ সমস্যা তাদের দেখা দেয়। আমরা বিভিন্ন ধরনের সালাত খাই থালাতেও কাঁচা পেঁপে খাওয়া যায় আবার অনেকে তরকারিতেও ব্যবহার করে থাকে।এই ফলটি অনেক উপকারী সবাই পছন্দ করি খেতে।কিন্তু শিশুরা কম বয়সে পানি পান করে এই জন্য তাদের এই ফলটি খাওয়া যাবে না।
এই ফলটি খেলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হতে পারে।নিচে আরো কিছু কাঁচা পেঁপে খাওয়ার নিয়ম বিশ্লেষণ করা হলোঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগের সমস্যা দূর করার খাবারের নিয়মঃ
আমরা অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমে সমস্যা দেখা দেয় তখন কাঁচা পেঁপের জুস সকালে প্রতিদিন খেলে সমস্যাটি আর হয় না।কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে বাওয়েল মুভমেন্ট স্বাভাবিক করে।
এই পদ্ধতিতে যদি পছন্দ না হয় তবে চাবিও খেতে পারে প্রতিদিন সকাল বেলায় ও দুপুরে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে একবাটি করে খেলে পেটের সমস্যা গুলো দূর হবে।
বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা অনেকেরই রক্ত আমাশয়ের সমস্যা দেখা দেয়ঃ
কাঁচা পেঁপের আঁঠা ৫ থেকে ৭ ফোঁটা ও বাতাসা ৪ থেকে ৫ দুটি মিশিয়ে দুই দিন পর্যন্ত সকাল বেলা খেলে এই সমস্যা যাদের হয় তাদের সঠিক হয়ে যাবে।
যাদের কৃমির সমস্যা হয় তারা কিভাবে কাঁচা পেঁপে খাবেঃ
প্রতিটি মানুষেরই কৃমি রোগটি হয় আর এই রোগটি হলে কাঁচা পেঁপে খেলে সমস্যাটি দূর হয়।
এক চামচ মধু ও তেরো ফোঁটা কাঁচা পেঁপের আঠা দুটি একসাথে মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে এবং ২৫ মিনিট পরে একগ্লাস পানি খেতে হবে। কয়েকদিনের ভিতরে আপনাদের কৃমির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
যাদের শরীরে ওজন কম ক্ষুধা লাগে না তারা কিভাবে পেঁপে খাবেঃ
যেসব মানুষের ক্ষুধা লাগে কম ও ওজন কম তাদের জন্য কাঁচা পেপে আঠা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
হাফ কাপ উষ্ণ পানি ও দুই থেকে তিন ফোটা কাঁচা পেঁপের আঠাদুটি একসাথে মিশিয়ে সকালে খেতে হবে।এতে করে ক্ষুধা বেশি লাগবে,ওজনও বাড়বে এবং হজম সঠিকভাবে হবে।
যাদের জ্বর,মাথা ব্যথা এবং শরীরের ব্যথার জনিত সমস্যা হয়,কাঁচা পেঁপে খাওয়ার নিয়ম তাদের জন্যঃ
একটা পানিতে পেঁপে পাতার রস ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারলে জ্বর ও অন্যান্য অসুখ ভালো হয়ে যায়।
আমরা অনেকে মনে করি রান্না করে খেলে বেশি উপকার কিন্তু না কাঁচা পেঁপে কাঁচা খেলেই বেশি উপকার হয়।আমরা বিভিন্ন উপায়ে কাঁচা পেঁপে খেতে পারি খেতে খেতে পারি ও জুস করেও খেতে পারি। হার্ড ফাংশন সকল প্রকার রোগ ও কিডনি লিভার এর সমস্যা গুলো কাঁচা পেঁপে খেলে সমাধান হয়। এখানে আমরা জানলাম যে কাঁচা পেঁপে উপকারিতা অনেক বেশি। কিন্তু কাঁচা পেঁপে অপকারিতা রয়েছে তা নিজে জানবো।

সকালে খালি পেটে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সকালে খালি পেটে কাঁচা পেঁপে খেলে এর উপকারিতা অনেক রয়েছে এবং এটিকে সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিচে চারটি বিষয়ে বিশ্লেষণ করা হলো কেন আমরা প্রতিদিন রুটিনে নিবো-
  • হজম শক্তি বাড়ায়ঃ যাদের পেটের সমস্যা হয় তাদের জন্য কাঁচা পেঁপে পাচনতন্ত্র কিকস্টার্ট এটি শরীরের জন্য একটি বিশেষ উপকার। আমরা যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছি তাদের জন্য এটি একটি ঔষধি হিসেবে কাজ করে।
  • ওজন হ্রাস প্রসার করেঃযারা অধিক ওজন কমাতে ইচ্ছা হয় তারা এই কাঁচা পেঁপে টি খেতে পারেন। এটিতে ক্যালরি কম ও ফাইবার বেশি থাকায় আমাদের শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে আর এটি খুব দুর্দান্ত কাজ করে থাকে।
  • হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করেঃকাঁচা পেঁপে খেলে শরীরে পুষ্টি শোষণ, বুক জ্বালার, পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা গুলো অতি দ্রুত সমাধান হয়। এনজাইম গুলি পরিপাক সুস্থতার জন্য শরীরের খাবারগুলো সাথে সহায়তা করে।
  • শরীরকে ডিটক্রিফাই করেঃকাঁচা পেঁপে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করে শক্তির মাত্রা উন্নত করে। শরীর থেকে টকনিল দূর করে ও পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে শক্তিশালী ডিটক্রিফায়ার করে থাকে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃআমাদের শরীরের অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচা পেতে খনিজ ও ভিটামিন থাকার কারণে আমাদের শরীরে সুস্থ রাখে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্যে উন্নত করেঃকাঁচা পেঁপে খেলে আমাদের টকটি সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে এই কাঁচা পেঁপেতে।ত্বকের দাগ ও ব্রণ দূর করতে কাঁচা পেঁপের ভূমিকা অনেক বেশি।
  • অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেনঃআমাদের পাচনতন্ত্রকে মসৃণভাবে ও অন্তের গতিবিথি নিয়ন্ত্রণ করতেএই প্রাকৃতিক রেচক কাঁচা পেঁপে অনেক বেশি ভূমিকা। আছে সকালে খালি পেটে কাঁচা পেঁপে খেলে কোষ্ঠি কাঠিন্যর সাথে লড়াই করতে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখে।

কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অপকারিতা

স্বাস্থ্যকর ফলের মধ্যে কাঁচা পেঁপেটি হল একটি ফল।যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জন্য এ পেঁপে টি সঠিক না।নিচে কাঁচা পেঁপে কিছু অপকারিতা উল্লেখ করা হলো-
  1. গর্ভাবস্থায়ঃকাঁচা পেঁপে গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে যাওয়া ভালো কারণ পেঁপেতে রেচক রয়েছে যা জরবায়ুর সংকোচন সমস্যা হয়ে থাকে।প্রত্যেকটি নারী গর্ভপাতের পূর্বে পেঁপে এড়ানোর উপদেশ দেওয়া হয় কারণ এতে সমস্যা দেখা দেয়। তবে পাকা পেঁপে খাওয়া গর্ভাবস্থায় ভালো।
  2. হাইপো থাইরয়েড রিজনঃআমরা অনেক মানুষেরই হাইপোথাইরয়েড রিজন আছে তাদের পেঁপে খাওয়া নিষেধ একেবারে। কাঁচা পেঁপেতে থাইরয়েডে হরমোন উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই এটি তাদের জন্য নিষিদ্ধ।
  3. কিডনিতে পাথরঃ ভিটামিন সি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁপেতে।ফ্রিস্কিং কমাতে ও রক্তে ক্রিটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই ফলটি। তবে কিছু কিছু ভালো জিনিস কিছু কিছু সময়ের জন্য সমস্যা দেখা দেয়।ভিটামিন সি অতিরিক্ত মাত্রায় কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। তাই কাঁচা পেঁপে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা।
  4. হৃদরোগের সমস্যাঃআমাদের মানুষের মধ্যে অনেকেরই হৃদ রোগের সমস্যা জটিলতায় ভুগছে তাদের জন্য পেঁপে খাওয়া একদমই সঠিক না।রিডিসকনের গতি কমিয়ে দেয় এই পেঁপের উপাদানটি।এই কারণে জটিলতা হয় হৃদরোগের।পরামর্শ অনুযায়ী পেঁপে খেতে হবে যাদের কার্ভিওভাসকুলার সমস্যা রয়েছে।
  5. লেটিক্র এলার্জিঃএক ধরনের উপাদান যা লেটেক্র এলার্জি দের জন্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাদের পেঁপে খাওয়া যাবেনা।

কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয়

উপরে আমরা জানলাম কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আর এখন জানবো কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয়।কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে পুষ্টিতে ভরপুর।নিয়মিততা বৃদ্ধি,কোলেস্টেরল কমা্তে ও হজম এর সহায়তা করতে কাঁচা পেঁপের খাওয়ার অনেক সুবিধা আছে।এই ফলটির সুস্বাদু, রসালো যেটি নানান উপায়ে খাওয়া যেতে পারে।নিচে কিছু তথ্য দেওয়া হলঃ
  • এই ফলটি পরিপূরক ও পরিপাক সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে।কাঁচা পেঁপেয় পটাশিয়াম,ফাইবার ও ভিটামিন সি,এ,ই এ সকল উপাদান উৎস আছে। কাঁচা পেঁপে জুস রান্না করে খাওয়া যায়।এই ফলটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার যা খাওয়া পুষ্টিতে ভরপুর।
  • হজমে যা এনজাইম সমৃদ্ধ সাহায্য করে কাঁচা পেঁপে।
  • মিনারেল ও ভিটামিনের মাত্রা অধিক থাকায় কাঁচা পেঁপে ভূমিকা অপরিহার্য।
  • আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করতে কাঁচা পেঁপের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে পেঁপের ভূমিকা আছে।
  • রক্তের শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপের সাহায্য করে।
  • ফাইবারের উৎস রয়েছে কাঁচা পেঁপেতে
  • সুস্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাময়িক কাঁচা পেঁপে খাওয়া সকলেরই দরকার।

গর্ভাবস্থায় কাছে পেঁপে খেলে কি হয়

উপরে আমরা জানলাম কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয়। এখন আমরা কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয় গর্ভ অবস্থায় তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানবো।কাঁচা পেঁপেতে যে সাদা তরল দুধের মত বের হয় সেটি হল ল্যাডেক্র।এদিকে আমরা সাধারণত পেঁপের আঠা বলি।উচ্চ ঘন লেডেক্র থাকার কারণে এর মধ্যে পেপইন নামক একটি এনজাইম থাকে কাঁচা পেঁপেতে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা পেঁপে ক্ষতিকর-
গর্ভাশয়ের জায়গা ছোট হয়ে যায়ঃগর্ভের সন্তান যে জায়গায় থাকে তাতে পেঁপে খেলে সে জায়গাটি ধীরে ধীরে করে ছোট হয়।
মাসিক হতে পারেঃমাসের প্রথম দিকে সাবধান থাকতে হবে কারণ কাজে পেঁপে খেলে মাসিকের সমস্যা দেখা দেয়।
হজম ও পুষ্টি শোষণ সমস্যাঃপেপসিন কাঁচা পেঁপেতে থাকে এই উপাদানটি এবং এর উচ্চমাত্রা অনেক বেশি তাই প্রোটিনের হজম হয় না কাঁচা পেঁপে খেলে।কাঁচা পেঁপে খেলে হজম ও পুষ্টি শোষণ হয় না কাঁচা পেঁপে খেলে তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া মা সন্তানের জন্য সঠিক না। সঠিক পরিমাণের পাকা পেঁপে খাওয়া যেতে পারে তবে সেটি অনেক নরম হতে হবে এতে ক্ষতি হয় না।
এখন আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে মহিলারা কতটুকু সমস্যা মধ্যে করতে পারে। তাই আমরা কাঁচা পেঁপে থেকে দূরে থাকতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে আমাদের নিজেদের জন্য যাতে পেটের সন্তানটি ক্ষতি না হয়। এই আর্টিকেল থেকে আমার মনে হয় আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

লেখক এর মন্তব্য

আমরা এ আর্টিকেল থেকে আজকে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁচা পেঁপে খেলে কি হয় তা সম্পর্কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছি। যা আপনাদের জন্য অনেক উপকার হবে এবং আপনারা এখান থেকে বিভিন্ন রকমের তথ্য পাবেন যা আপনাদের জন্য অনেক উপকার হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url